ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘর্ষ তৃতীয় দিন সোমবারও অব্যাহত ছিল। রোববার রাতভর গাজায় ইসরাইলি বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় সোয়া লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদিকে সহিংসতা বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ও ভৌগোলিকভাবে একীভূত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এফ্রেম সিরিয়াক প্রাচীন অর্থোডক্স চার্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, চলমান ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত বন্ধ করতে, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা কমাতে তুরস্ক তার ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।
এর আগে শনিবার ক্রমবর্ধমান সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনকে সংযমের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘আমরা উভয়পক্ষকে সংযমের সঙ্গে কাজ করতে এবং উত্তেজনা বাড়াতে পারে এমন আবেগপ্রবণ পদক্ষেপ থেকে দূরে থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা অব্যাহত রাখবে তুরস্ক।’
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধের বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন তুরস্ক। এ অঞ্চলে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, সহিংসতা যাতে না বাড়ে তা নিশ্চিত করতে অবদান রাখতে প্রস্তুত তুরস্ক। উভয়পক্ষকে শক্তির ব্যবহার বন্ধ এবং দেরি না করে শান্তির স্থায়ী সমাধানে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি কাতারের শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-ফুরহান আল-সৌদ, মিসরের সামেহ শউকরি, ফিলিস্তিনির রিয়াদ আল-মালিকি এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গেও ফোনে তিনি কথা বলেছেন।