চলতি মৌসুমটা দুঃস্বপ্নের মতো কাটছে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজির। লিগ শিরোপা বাদে আর অন্য কোনো শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নেই তাদের। লিগ ওয়ানে দল শীর্ষে থাকলেও, সর্বশেষ কয়েক ম্যাচের ফলও তেমন স্বস্তি দিচ্ছিল না। তবে সব চাপ উড়িয়ে দিলেন যেন এমবাপে। জোড়া গোলে স্বস্তি দিলেন ক্রিস্টোফে গালটিয়েরের দলকে।
লিগ ওয়ানের ম্যাচে রোববার রাতে অসের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। শিরোপা জয়ের জন্য আর এক পয়েন্ট দরকার মেসি-এমবাপেদের। অথবা টেবিলের দুইয়ে থাকা দল পরের ম্যাচে পয়েন্ট হারালেই শিরোপা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে যাবে পিএসজির।
এদিন প্রতিপক্ষের মাঠে দুর্দান্ত শুরু করে পিএসজি। ম্যাচের ৮ মিনিটের মধ্যে দুই গোল দিয়ে বড় জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন এমবাপে। ম্যাচের মাত্র ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগেই এগিয়ে যায় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। মেসির কাছ থেকে বল পেয়েই ফাবিয়ান রুজস খুঁজে নেন এমবাপেকে। নিখুঁত শটে বাকি কাজ সারেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
মিনিট দুয়েক পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপে। মেসির বাড়ানো বল স্পর্শ না করে ছেড়ে দেন উগো একিতিকে। ডি-বক্সের মাথায় পেয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন ফরাসি তারকা। লিগ ওয়ানে ২৮টি গোল করে সবার ওপরে রয়েছেন তিনি।
প্রথমার্ধে ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ ছিল পিএসজির। তবে মেসির বেশ কয়েকটি শট বিফলে যায়। বিরতি থেকে ফিরে উল্টো এক গোল খেয়ে বসে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে পিএসজিকে চেপে ধরে স্বাগতিকরা। ফলও পেয়ে যায় দ্রুত। ম্যাচের ৫১ মিনিটে লাসসিনা সিনায়োকো অসের হয়ে গোল করেন।
ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ পেয়েছিলেন এমবাপে। তবে অসের গোলরক্ষকের দুর্দান্ত সব সেভে শেষ পর্যন্ত হ্যাটট্রিক বঞ্চিত হন ফরাসি তারকা। অন্যদিকে, গোল পোস্টের নিচে ব্যস্ত এক রাত কেটেছে ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মারও। ৩৭ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা অসের গোলের জন্য নিয়েছে ১৪ শট, এর সাতটি ছিল লক্ষ্যে। স্বাগতিকদের আক্রমণ বার বার প্রতিহত করেছেন এই গোলরক্ষক।
৩৬ ম্যাচে ২৭ জয় ও তিন ড্রয়ে ৮৪ পয়েন্ট পিএসজির। আর সমান ম্যাচে টেবিলের দুইয়ে থাকা লেন্সের পয়েন্ট ৭৮। তবে এই দুই দলের গোল ব্যবধান হচ্ছে ১৬। অসের বিপক্ষে জয়ে লিগ শিরোপা অনেকটাই নিশ্চিত তাদের। যদি না অসম্ভব কিছু ঘটে। যদি পিএসজি তাদের বাকি দুই ম্যাচ হেরে যায়, তবুও তারা টেবিলে দুইয়ে থাকা লেন্সের চেয়ে গোল ব্যবধানে অনেক এগিয়ে থাকবে। যদি অসম্ভব কিছু না ঘটে, তবে বলাই যায় আজই শিরোপা জিতে গেছে পিএসজি।