কলকাতার নিউটাউন হাউজিং কমপ্লেক্সের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে গত মাসে উদ্ধার করা দেহাংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার খালের কাছ থেকে উদ্ধার করা হাড়গোড় মানুষের বলে প্রাথমিক ফরেনসিক রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির আইজি অখিলেশ চতুর্বেদী গতকাল সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, সেই দেহাংশ ও হাড়গোড় বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের কি না, তা জানতে তারা এখন ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য আদালত থেকে অনুমোদন নেবেন।
পরে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে সিআইডি আনারের পরিবারের এক সদস্যকে ডিএনএ নমুনা দেওয়ার জন্য কলকাতায় যেতে বলবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, 'এজন্য কূটনৈতিক অনুমতির প্রয়োজন হবে। আমরা আশা করছি যে, ডিএনএ ম্যাচিংয়ের জন্য আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ভারতে আসবেন। ডিএনএ ম্যাচিংয়ের পুরো কাজ শেষ করতে কিছু সময় লাগতে পারে।'
পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্র জানায়, তারা এখন আনারকে হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও অস্ত্র উদ্ধারে মনোনিবেশ করবে।
গত সপ্তাহে নেপাল থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা সিয়াম হোসেন যে দোকান থেকে ওই সরঞ্জামগুলো কিনেছিলেন, তাকে নিয়ে সেখানে যাওয়া হবে।
আনারের মরদেহ যে বৈদ্যুতিক যন্ত্র দিয়ে টুকরো করা হয়, সিআইডি সেটিও খুঁজছে বলে জানান তদন্তকারীরা।