ফিলিস্তিনের গাজার সবচেয়ে বড় আল শিফা হাসপাতাল অবরুদ্ধ ও হামলা চালানোর পর এবার সেখানকার ইন্দোনেশিয়ার হাসপাতালটিও অবরুদ্ধ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার সকাল থেকেই ট্যাঙ্ক দিয়ে ঘেরাও এবং হামলা চালায় তারা।
কেউ হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই গুলি করে হত্যা করছে ইহুদিবাদী ইসরায়েলি সেনারা। সোমবার ১২ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে তারা। ফলে হাসপাতালটিতে রোগী ও বাস্তুচ্যুতসহ ৬ হাজার মানুষ সেখানে অবরুদ্ধ। এদিকে, আল শিফায় হামাসের সুড়ঙ্গ পাওয়ার ইসরায়েলি দাবিকে ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির।
ইন্দোনেশিয়ার হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার কারণে অস্ত্রোপচার রুম বন্ধ হয়ে গেছে। হাসপাতালের বাইরে তাদের লাশ পড়ে আছে। হাসপাতালে প্রায় ৭০০ রোগী, ৫ হাজার বাস্তুচ্যুত এবং আশপাশে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অন্তত ১০ হাজার মানুষ ছিল।
এদিকে, হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেছেন, এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। হামলা বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের ওপর চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান।
শুধু হাসপাতাল নয়, আল কুয়েত এলাকায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলেও হামলা চালিয়েছে। সেখানে কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। এদিকে, আল শিফা থেকে ২৯টি অপরিপক্ব শিশুকে বাঁচাতে স্থানান্তর করা হয়েছে মিসরে।
বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ১৩ হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে ৫ হাজার ৫০০ জনই শিশু।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা রিয়া জানিয়েছে, আরব লিগ এবং ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আজ মস্কোতে বৈঠক করবেন। রাশিয়া ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান বজায় রেখেছে। এদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ফোনালাপে গাজায় মানবিক সংকট আর যাতে না বাড়ে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে একমত হয়েছেন।
এদিকে, গাজায় চার্চসহ দুটি ইসরায়েলি হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।