দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) মনে করছে- স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক অর্জন আছে। রপ্তানি এবং স্থানীয় ভোক্তা বাজারের পাশাপাশি বিনিয়োগ সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। এখন সময় বাংলাদেশের এসব অর্জন ও সক্ষমতা বিদেশিদের কাছে তুলে ধরার।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বাংলাদেশ বিজনেস সামিট উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এসব কথা বলেন। সামিটের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআইয়ের নিজস্ব অফিসে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দেশে বিনিয়োগ আনার সক্ষমতা ছিল না। এখন সেই সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। ওয়ালমার্ট, জারা’র মত কোম্পানি কলকাতায়ও চলে এসেছে। এখন তাদের বাংলাদেশে আসার সময়। বাংলাদেশের রপ্তানির সম্ভাবনার পাশাপাশি লোকাল কনজ্যুমার মার্কেটও বড় হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন ১০০টি ইকোনমিক জোন দৃশ্যমান। আমাদের এসব সক্ষমতা তুলে ধরা দরকার।’
এফবিসিসিআইয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসার সম্ভাবনা তুলে ধরতে তিনদিনের বাংলাদেশ বিজনেস সামিট শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার (১১ মার্চ) থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকারি বেসরকারি খাতসহ এবারের সম্মেলনে ১৬টি দেশের দুইশ’র বেশি ডেলিগেট আসছেন। এর মধ্যে বিশ্বের নামকরা ১২টি কোম্পানির সিইও কিংবা টপ পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও থাকছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘কিছু বোটলনেক আছে। এটা বাংলাদেশের একার নয়, অন্যান্য দেশেও আছে। আমরা তা ওভারকাম করবো।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক সম্ভাবনার খবরও পাওয়া যায়। আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনমি হবে বলে ভবিষ্যদ্বানী করেছে বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ। আর এইচএসবিসির ভবিষ্যদ্বানী- নবম বৃহত্তম বাজার হবে বাংলাদেশ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তিন দিনের সামিটে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত নিয়ে ১৭টি সেমিনার ও তিনটি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ মোমেন, আমিন হেলালি, হাবিব উল্লাহ ডন, বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের কারিগরি উপদেষ্টা ড. এম মাশরুর রিয়াজ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।