বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত আরও কমেছে। এবার এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভের পরিমাণ কমে ১ হাজার ৯১৩ কোটি ডলারে নেমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে রিজার্ভের এ চিত্র পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুসরণ করলে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯১৩ কোটি ডলার, যা এর এক সপ্তাহ আগে ছিল ১ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার।
এছাড়া এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫০২ কোটি ডলার। বর্তমানে তা কমে ২ হাজার ৪৬৬ কোটি ডলারে নেমেছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৩৬ কোটি ডলার।
এর বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। সেই হিসাব প্রকাশ করা হয় না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন যে প্রকৃত রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে প্রায় তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের কাছে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম একটি সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার এই রিজার্ভ।
বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্তের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে, চলতি ডিসেম্বরে প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৬৮০ ডলারে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ অবশ্য আইএমএফকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, শর্ত অনুযায়ী রিজার্ভ রাখা যাবে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএফ শর্ত শিথিল করেছে। নতুন লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকৃত (নিট) রিজার্ভ রাখতে হবে ১ হাজার ৮০০ কোটি এবং আগামী জুনের মধ্যে তা ২ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে হবে।