উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার পাল্টাপাল্টি নানা পদক্ষেপে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। এছাড়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং কিম জং উনের নানা বক্তব্যেও উত্তেজনা কমার কোনও লক্ষণ নেই।
এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়াকে বশে রাখতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অনুরোধ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র তৈরির বিরুদ্ধেও কঠোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। শনিবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উত্তর কোরিয়ার ‘সবচেয়ে খারাপ প্রবণতা’ রোধ করার জন্য চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অনুরোধ করবেন। একইসঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র তৈরির ফলে এশিয়ায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ‘আরও বাড়বে’ বলেও জিনপিংকে তিনি জানাবেন বলে শনিবার একজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন।
এএফপি বলছে, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী গ্রুপ অব টোয়েন্টি বা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে আগামী সোমবার বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এই বৈঠকের আগে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেছেন- আসন্ন বৈঠকে বাইডেন শিকে বলবেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে খারাপ প্রবণতা রোধে চীনকে গঠনমূলক ভূমিকা পালনে কাজ করা উচিত’।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন শি জিনপিংকে আরও বলবেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ যদি ‘এই ভাবে চলতেই থাকে তবে এর অর্থ এই অঞ্চলে আমেরিকান সামরিক এবং নিরাপত্তা উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি করা হবে।’
আঞ্চলিক আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য কম্বোডিয়া যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে কথা বলতে গিয়ে জ্যাক সুলিভান এসব কথা জানান। তিনি বলেন, সোমবারের ওই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন চীনের কাছে কিছুই দাবি করবেন না বরং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে (উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে) ‘নিজের দৃষ্টিভঙ্গি’ জানিয়ে দেবেন।
আর বাইডেনের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, ‘উত্তর কোরিয়া কেবল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়, কেবল (দক্ষিণ কোরিয়া) এবং জাপানের জন্য নয় বরং সমগ্র অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির সৃষ্টি করছে।’
সুলিভান বলেন, এই পরিস্থিতিতে চীন উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে চায় কি না তা অবশ্যই তাদের (বেইজিংয়ের) ব্যাপার।