রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে দলমত নির্বিশেষে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ‘স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভাল ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান।
সকলের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এমন কিছু করা উচিত হবে না যার ফলে দেশ ও জনগণ আবারো পিছিয়ে পড়ে।’
‘বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরমত সহিষ্ণুতা এবং পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসকে পুঁজি করে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।
রাষ্ট্র্র প্রধান শিশুদেরকে আগামী দিনের ‘স্মার্ট বাংলাদেশে'র দক্ষ, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক দেশপ্রেমিক ও ‘স্মার্ট নাগরিক’ হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার তাগিদ দেন। খবর বাসস।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং শিশু - সুমাইয়া আক্তার রুমি এবং মো. রেজওয়ান মাহবুব নেহাল-‘স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভাল ২০২৩’ এ উপস্থিত ছিলেন।
শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে রাষ্ট্র প্রধান বলেন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা যেখানে সব ধরনের কাজ, সেবা, আর ব্যবস্থাপনা বিশ্বমানের ও স্মার্ট প্রযুক্তি নির্ভর’।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সময়োপযোগী জ্ঞান আহরণ এবং সেটা হাতে কলমে বাস্তবায়নের চেষ্টা করার উপদেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
‘তোমাদের এখন থেকেই শিখতে হবে হতে হবে অপ্রতিরোধ্য। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে,’ তিনি যোগ করেন।
আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিনে তাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি এবং এই মাহেন্দ্রক্ষণে দেশের সকল শিশু-কিশোরকে আন্তরিক স্নেহ-ও শুভেচ্ছা জানান।
আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকের এই আয়োজন শিশুদের সবাইকে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা, নতুন প্রযুক্তি এবং নতুন বন্ধু তৈরিসহ আরো অনেক কিছুর সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দিবে।
তিনি বলেন, ‘খেলাধুলার করার জন্য এখন তোমাদের সুযোগ কম হলেও যতটা পারা যায় খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করবে।’
রাষ্ট্রপতি স্থানীয় জন প্রতিনিধিদেরকে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় খেলার মাঠের ব্যবস্থা করার ও আহ্বান জানান।
তিনি শিশু-কিশোরদেরকে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বাইরের অনেক কিছু নিয়ে লেখাপড়া করে নিজ নিজ জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার পথের জোর দেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন উপদেশ দেন, ‘সব সময় মনে রাখবে, দেশটাও তোমার পরিবারের মতো। আর পরিবারে সবাই যেমন অবদান রাখে, তোমরাও সেভাবে অবদান রাখবে। এ জন্য নিজে দেশকে জানতে হবে, পড়তে হবে অনেক কিছু।’
বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের সাফল্যের পথ ধরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৪১ সালে মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ও একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে ।
রাষ্ট্রপতি আশা করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ‘২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে’-এর উপর নির্মিত একটি অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী উপভোগ করেন।