ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আগাম ঈদযাত্রার ৫ দিনে (১৭-২১ এপ্রিল) সারাদেশে বাংলাদেশ রেলওয়ে ২ লাখ ১৪ হাজার ৯৭৩ জন যাত্রী পরিবহন করেছে। এসব যাত্রী পরিবহন করে রেলওয়ের আয় হয়েছে ৬ কোটি ৭১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৯ টাকা।
রোববার (৩০ এপ্রিল) রেল ভবনে ঈদ পরবর্তী রেল ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মূল্যায়ন সভায় এ তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী।
ঈদের যাত্রী পরিবহন ও আয়ের চিত্র তুলে ধরে সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ২০২২ সালের ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে পাঁচ দিনে যাত্রী পরিবহন হয়েছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬৩ জন এবং আয় হয়েছিল ৫ কোটি ১৯ লাখ ৬১ হাজার ৪৭৮ টাকা। একই বছর ঈদুল আযহার ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে যাত্রী পরিবহন হয়েছিল ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫১৯ জন এবং আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৬১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪৭ টাকা। এ বছর ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে পাঁচ দিনে (১৭-২১ এপ্রিল) যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৯৭৩ জন এবং আয় হয়েছে ৬ কোটি ৭১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৯ টাকা।
রেলের ঈদযাত্রা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে শতভাগ অনলাইনে টিকিট বিক্রির ফলে টিকিট ক্রয়ে ভোগান্তি কম হওয়া এবং শিডিউল বিঘ্ন না ঘটায় আমি সন্তুষ্ট। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তার পাশাপাশি রেল ব্যবস্থাও এগিয়ে যাচ্ছে। রেল ব্যবস্থাকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ধীরে ধীরে উন্নত বিশ্বের মতো পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। রেলওয়ের কয়েকটি মেগা প্রকল্প এ বছরই উদ্বোধন করা হবে। রেলওয়ের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি রেল পরিচালনায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নতুন নতুন ইঞ্জিন, কোচ সংযুক্ত হচ্ছে, নতুন ডাবল লাইন করা হচ্ছে। যাত্রী সেবা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
আলোচনায় অংশ নেওয়া সবাই এবারের টিকিট বিক্রয়ের পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়ে আগামী ঈদগুলোতেও টিকিট একইভাবে শতভাগ অনলাইনে দেওয়ার প্রস্তাব জানান।
তারা বলেন, এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ৭ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হয়। ফলে যাত্রীরা কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই ঘরে বসে অনলাইনে টিকিট কাটতে পেরেছেন। টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য টিকিট বিক্রির কপি স্টেশন এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ঈদযাত্রায় তেমন কোনো শিডিউল বিপর্যয় না ঘটায় এবং ট্রেনের ভেতরে এবারের ঈদযাত্রা যাত্রীদের কাছে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ছিল সবচেয়ে আরামদায়ক ও নিরাপদ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. কামরুল আহসান প্রমুখ।