বছর ঘুরে অফুরন্ত রহমত নিয়ে ফিরে এসেছে মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। রমজান আসে আমাদের অন্তর জগৎ প্রস্তুত করতে। যেন সেখানে খোদাভীতি জায়গা করে নিতে পারে।
বান্দার মনে যদি একবার খোদার প্রেম বসে যায়, তবেই সে সফল জীবনের চাবিকাঠি হাতে পাবে।
রোজাদারের জন্য সেহরি খাওয়া ও ইফতার করা সুন্নাত। বিশেষ কিছু না পেলে সামান্য খাদ্য বা কেবল পানি পান করলেও ইফতারের সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে।
ইফতার খুরমা কিংবা খেজুর দ্বারা করা সুন্নাত। তা না পেলে পানি দ্বারা ইফতার করবে। ইফতার আয়োজনে অপচয় বা লোক দেখানো বিষয়গুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।
ইফতারের কিছুক্ষণ পূর্বে এ দোয়াটি বেশী বেশী পড়তে হবে
يَا وَا سِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْلِىْ
উচ্চারণ: ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতি, ইগফিরলী।
অর্থঃ হে মহান ক্ষমা দানকারী! আমাকে ক্ষমা করুন। (শু‘আবুল ঈমান: ৩/৪০৭)
بِسْمِ اللهِ وَعَلى بَرَكَةِ اللهِ
বিসমিল্লাহি ওয়া ‘আলা বারাকাতিল্লাহ বলে ইফতার শুরু করবে
ইফতারের পর নিম্নের দুটি দু‘আ পড়বে;
১. اَللّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلي رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়ালা রিযকিকা আফতারতু।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য রোজা রেখেছি, এবং তোমারই দেয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করলাম। (আবূ দাঊদ: ১/৩২২)
২. ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْـتَلَّتِ العُرُوْقُ وَثَبَتَ الاَ جْرُ اِنْ شَاءَ الله تَعَا لى
উচ্চারণ: যাহাবাযযমা ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহু তায়ালা।
অর্থঃ পিপাসা দূরিভূত হয়েছে, ধমনীসমূহ সতেজ হয়েছে, এবং ইনশাআল্লাহ রোজার সওয়াব নিশ্চিত হয়েছে। (আবূ দাঊদ: ১/৩২১)
৩. কারো দাওয়াতে ইফতারি করলে মেজবানের উদ্দেশে এই দু‘আ পড়বে:
اَفْطَرَعندكم الصائمون واكل طعامكم الابرار وصلت عليكم الملئكة
উচ্চারণ: আফতারা ইনদাকুমুস সায়িমুন ওয়া আকালা তাআমুকুমুল আবরার ওয়া সাল্লাত আলাইকুমুল মালাইকা।
অর্থঃ আল্লাহ করুন যেন রোজাদারগণ তোমাদের বাড়ীতে রোজার ইফতার করে এবং নেক লোকেরা যেন তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশতাগণ যেন তোমাদের উপর রহমতের দু‘আ করে। (আসসুনানুল কুবরা, নাসাঈ ৬:৮১)