ভেঙে পড়েছে একটি বড় রাস্তা। অর্ধেক অংশ একেবারেই চূড়মার হলেও বাকি অর্ধেকটা অক্ষত রয়েছে। সেই পথটুকু দিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। হলুদ রংয়ের একটি ট্রাককে এগিয়ে যেতে সামনে দাঁড়িয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছে একজন যুবক। ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় সুমাত্রা দ্বীপে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় রাস্তাটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের পেসিসির সেলাতান রিজেন্সি এলাকায় বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। রোববার একজন কর্মকর্তাবলেছেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ছয়জন। এলাকাটি থেকে ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পেসিসির সেলাতানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডনি ইউসরিজাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, সুতেরা জেলার লাংগাই গ্রামে ২ জনের ও কোটো ইলেভেন তরুসান জেলায় ৭ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া লেঙ্গায়াং থেকে ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যায় ওই এলাকার ২০ হাজারেরও বেশি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। আটটি সেতু ভেঙে পড়েছে।
সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ফাজার সুকমা বলেছেন, ভূমিধসের পর বন্যার কারণে এলাকার প্রায় ২০০ পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বেশকিছু এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ডনি। আরও বলেছেন, কিছু এলাকায় বন্যায় আটকা পড়া লোকজনের কাছে পৌঁছানোর জন্য নৌকা ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তা আব্দুল মালিক বলেছেন, উদ্ধারকারীরা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি এলাকায় তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা রয়েছে। তবে কিছু জায়গায় বন উজাড়ের কারণে সমস্যাটি আরও বেড়েছে।