দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংস্থা আসিয়ানে বাংলাদেশের সদস্য পদ পাওয়ার বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া দেশটিকে বাংলাদেশিদের ব্যবসায়ের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হরতান্তো সুবোলো বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে এ আহ্বান জানান ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি আশা করি ইন্দোনেশিয়া আমাদের আসিয়ানের সদস্যপদ পেতে সাহায্য করবে। এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বলেন, তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সময়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কারণ দেশটি জানুয়ারিতে আসিয়ানের সভাপতিত্ব নিতে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত সুবোলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার দেশের সমর্থন জানান এবং বলেন, ইন্দোনেশিয়া আসিয়ান সদস্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশের আবেদন নিবিড়ভাবে অনুসরণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা ক্ষুদ্রঋণের প্রচারের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় তার একাধিক সফরের কথা স্মরণ করেন। তিনি এ সময় বলেন, একটা বিষয় সবসময় আফসোস করি যে ইন্দোনেশিয়ায় খুব বেশি বাংলাদেশি নেই। ইন্দোনেশিয়া বৃহত্তম মুসলিম দেশ। কিন্তু দেশের মানুষ বাংলাদেশ সম্পর্কে তেমন সচেতন নয়। কাছাকাছি আসার জন্য আমাদের অবশ্যই একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি ইন্দোনেশিয়াকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা, আরও বাংলাদেশি চিকিৎসক নিয়োগ এবং বাংলাদেশ থেকে ওষুধপত্র আমদানির আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত সুবোলো বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মাতারবাড়ি এবং অন্যান্য এলাকায় সোলার পিভি বিনিয়োগ প্রকল্পের বিষয়ে পারটামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়া এবং কোল জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইন্দোনেশিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ানতোকে তার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।দানির ওপর অবশিষ্ট আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ, রেগুলেটরি ডিউটি ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং অগ্রীম আয়করের হার ৫ শতাংশ হতে কমিয়ে ২ শতাংশ ধার্য্য করে অর্থাৎ মোট করভার ২৫ শতাংশ হতে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এর ফলে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ব্যতীত অন্য কোন শুল্ক-কর আরোপযোগ্য রইলো না।
এনবিআর থেকে দাবি করা হয়, চাল আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক-করাদি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার ফলে এবং অগ্রীম আয়করের হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করায় প্রতি কেজি চালের আমদানি ব্যয় ২৫.৪৪ টাকা কমবে। এতে চালের আমদানি বৃদ্ধি পাবে, বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, দেশের আপামর জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।