আর্মেনিয়ান একটি এয়ারলাইনের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই শনিবার (২৯ এপ্রিল) আকাশপথে সেবাদানকারী ওই সংস্থাটির বিমানের জন্য তুর্কি আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আর্মেনিয়ার প্রাচীনতম এবং প্রধান রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আর্মেনপ্রেসের খবরে একথা বলা হয়েছে বলে রোববার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার কোনও সতর্কতা ছাড়াই স্বল্পমূল্যে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া আর্মেনিয়ান এয়ারলাইন ফ্লাইওন আর্মেনিয়ার জন্য তুরস্ক নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে বলে এয়ারলাইনটির বোর্ড চেয়ারম্যানকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে আর্মেনপ্রেস।
ফ্লাইওনের চেয়ারম্যান আরাম অনন্যান বলেছেন, ‘কোনও ধরনের যৌক্তিক কারণ ও দৃশ্যমান ভিত্তি ছাড়াই তুরস্কের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ফ্লাইওন আর্মেনিয়া এয়ারলাইনকে তুর্কি আকাশসীমার মাধ্যমে ইউরোপে ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য পূর্বে দেওয়া অনুমতি বাতিল করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তুরস্কের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ পূর্ব কোনও ঘোষণা ছাড়াই অনুমতি বাতিলকরণের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে এবং আমাদের এয়ারলাইন ও আমাদের যাত্রীদের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে।’
মলডোভান এয়ারলাইন ফ্লাইওনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফ্লাইওন আর্মেনিয়া ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনন্যান আর্মেনপ্রেসকে বলেছিলেন, তাদের বহরে পাঁচটি এয়ারবাস বিমান রয়েছে এবং এগুলো দিয়ে আটটি ইউরোপীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশের ১৪টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।
১৯৯০ সাল থেকে আর্মেনিয়ার সাথে তুরস্কের কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই। আধুনিক তুরস্কের পূর্বসূরি অটোমান সাম্রাজ্যের আমলে ১৯১৫ সালে আর্মেনিয়ায় ১৫ লাখ লোককে হত্যার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
আর্মেনিয়া সেই ঘটনাকে গণহত্যা দাবি করে থাকে। তবে তুরস্ক সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।