যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমালা হ্যারিস। জনমত জরিপগুলো এবারের নির্বাচনে ঐতিহাসিক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়েছে। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ নির্বাচনের লড়াইয়ে দুই প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাতে কমলা হ্যারিস নির্বাচনী প্রচারণায় শেষবারের মতো পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় সমাবেশ করেন। ডেমোক্র্যোট প্রার্থী শেষ বক্তৃতা শুরু করেন সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা কে তা দেখানোর জন্য আমরা সবাই এতে একসঙ্গে আছি।’
হ্যারিস বলেন, ‘আমি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে প্রস্তুত। আমাদের প্রচারাভিযান আমেরিকান জনগণের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আমরা আশাবাদী এবং আমরা একসঙ্গে যা করতে পারি তা নিয়ে আমরা উত্তেজিত।’
কমলা হ্যারিস আরও বলেন, ‘ভোটারদের এক দশকের রাজনীতির পাতা উল্টানোর সুযোগ আছে, যা ভয় ও বিভাজন দ্বারা চালিত হয়েছে।’
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শেষ সমাবেশ করতে এখন মিশিগানের গ্র্যান্ড র্যাপিডসের সমাবেশস্থলে রয়েছেন। এর আগে উত্তর ক্যারোলিনায় একটি সমাবেশে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি সমস্ত মেক্সিকান আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসাতে চান, যদি তারা অভিবাসীদের সীমান্ত অতিক্রম করা বন্ধ না করে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ; চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ কোটিরও বেশি ভোটার নির্ধারণ করবেন কে হবেন দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। এরই মধ্যে চূড়ান্ত ভোটের দিনের আগে প্রায় ৮ কোটি মার্কিনি আগাম ভোট দিয়েছেন।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ নির্বাচন যেন ভোটের লড়াই নয়, স্নায়ুর যুদ্ধ। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই খুব কমই হয়েছে মার্কিন রাজনীতিতে।
এবারের মার্কিন নির্বাচনে প্রাধান্য পাচ্ছে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, গর্ভপাত, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও অভিবাসন এবং বৈশ্বিক ইস্যুতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশেষ করে ফিলিস্তিনে ইসরাইল বাহিনীর আগ্রাসন।