পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায়— আগামী ২৮ জুন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
ঈদ প্রায় চলে আসায় এখনই দেশটিতে কোরবানির পশু কেনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ আরব আমিরাতে কোরবানির পশুর দাম কেমন হয় সে বিষয়ে ধারণা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গরু, ছাগল, ভেড়াসহ পশুভেদে দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়। এছাড়া সরাসরি হাট থেকে পশু কিনলে দাম একরকম পড়ে। আবার অ্যাপসের মাধ্যমে কিনলে দাম আরেক রকম হয়।
পশুর হাটে সাধারণত ছাগল ও ভেড়ার দাম শুরু হয় ৬০০ দিরহাম থেকে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৮ হাজার টাকা। অপরদিকে একটি ষাড় গরুর দাম শুরু হয় ৪ হাজার দিরহাম থেকে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার টাকার সমান। পশুর হাট থেকে পশু কিনলে সেটি আবার কসাইখানায় পাঠাতে ও কোরবানি করতে আলাদা খরচ করতে হয়।
অপরদিকে এ বছর কেউ যদি অ্যাপসের মাধ্যমে পশু অর্ডার করেন— তাহলে একটি ছাগল বা ভেড়ার জন্য কমপক্ষে ৮৫০ দিরহাম বা ২৬ হাজার টাকা; আর একটি গরু কিনতে ৫ হাজার ৫০০ দিরহাম বা প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।
তবে অ্যাপসের মাধ্যমে পশু অর্ডার করলে— কোরবানি থেকে শুরু করে সমস্ত দায়িত্ব থাকবে কসাইখানার কাছেই। নিজেদের কিছুই করতে হবে না।
যেহেতু এটি হলো সর্বনিম্ন দাম। ফলে আকার ও পশুর সৌন্দর্য্যভেদে দাম আরও বেশি পড়বে।
কোথায় কোরবানি করা যাবে
আরব আমিরাতের দুবাই ও আবুধাবিতে খোলা স্থানে কোরবানি করা নিষেধ। এসব শহরে যেসব নির্দিষ্ট কসাইখানা আছে সেখানে ফি প্রদানের মাধ্যমে কোরবানি করা যায়। এছাড়া ঈদের দিন সকাল থেকে আসর নামাজ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত কোরবানি করা যাবে।
কেউ যদি খোলা জায়গায়, বাড়ির আঙ্গিনায় কোরবানি করার চেষ্টা করেন তাহলে তাকে জরিমানার কবলে পড়তে হবে। যে সময় করোনা মহামারির প্রকোপ চলছিল, সে সময় খোলা জায়গায় জবাইকৃত পশু বাজেয়াপ্ত করার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র: খালিজ টাইমস