আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সঠিকভাবে আমদানি করা পণ্যের দাম যাচাইয়ের জন্য আমদানি পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে আমদানি করা পণ্যের সম্পূর্ণ বিবরণ, মান, ব্র্যান্ড, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেজিং সংক্রান্ত তথ্য গ্রেডসহ নানা তথ্য জমা দিতে হবে ব্যবসায়ীদের।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে পণ্যের আমদানিকারক-রফতানিকারক, প্রস্তুতকারক দেশের নাম এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সংশ্লিষ্ট পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক মূল্য যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে ঋণপত্র (এলসি) খোলার নিয়ম রয়েছে। তাছাড়া আমদানি পণ্যের নাম, বিবরণ, পরিমাণ, মূল্য ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ তথ্য ও বর্ণনা দেয়ার বিষয়েও নির্দেশনা রয়েছে।
এক্ষেত্রে আরও নতুন কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সঠিকভাবে আমদানি পণ্যের দাম যাচাইয়ের সুবিধার্থে রফতানিকারকদের এদেশীয় এজেন্টের কাছে সরবরাহ করা নথিতে আমদানি পণ্যসম্পর্কিত আরও কিছু বিষয় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
যার মধ্যে রয়েছে- পণ্যের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ, মান, ব্র্যান্ড, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেজিং সংক্রান্ত তথ্য ও গ্রেড (যদি থাকে), যা দিয়ে পণ্যের গুণগত মান পৃথক করা যায়। এ ছাড়া ইউনিট প্রতি মূল্য এবং পরিমাণও উল্লেখ করতে হবে।
এছাড়া একই নথির মাধ্যমে একাধিক পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আলাদাভাবে প্রতিটি পণ্যের বিবরণ, মান, ব্র্যান্ড, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেজিং সংক্রান্ত তথ্য ও গ্রেডের (যদি থাকে), যা দিয়ে পণ্যের গুণগত মান পৃখক করা যায় এবং ইউনিট প্রতি মূল্য ও পরিমাণ উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, একই নথির মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সাধারণভাবে সব পণ্যকে একটি নির্দিষ্ট ইউনিট যেমন-কেজি, লিটার অথবা পিস ইত্যাদিতে পরিমাপ না করে তাদের প্রকৃতি অনুযায়ী প্রযোজ্য ইউনিটে উপস্থাপন করতে হবে।
তাছাড়া ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অনুমোদিত আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য বেঁধে দেয়া নিয়ম এবং পরিবহনভাড়া যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে। সেই সঙ্গে আমদানি পণ্য সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে এইচএস কোড ৬ ডিজিট ও পরের ২ ডিজিট উল্লেখ করতে হবে।