অবশেষে গুঞ্জনটাই সত্যি হলো। পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে ফিরেছেন বাবর আজম। আজ শনিবার পিসিবি জানিয়েছে, দেশটির ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিন সংস্করণের নেতৃত্ব থেকে অনেকটা বাধ্য হয়ে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বাবর।
এরপর ঘটা করে টেস্টে শান মাসুদ ও টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, বাবরের নেতৃত্বেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে পাকিস্তান। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে টিকে গেছেন মাসুদ।
এখন পর্যন্ত আফ্রিদির অধীনে পাকিস্তান খেলেছে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এ বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে সেই সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান দলে আফ্রিদির অধিনায়কত্ব নিয়ে শঙ্কা জাগে পিএসএলের এবারের মৌসুমে। তাঁর নেতৃত্বে লাহোর কালান্দার্স আগের দুবার চ্যাম্পিয়ন হলেও এ মৌসুমে ছিল সবার শেষে। এ মৌসুমে খেলা ৮ ম্যাচে লাহোর জিতেছে মাত্র ১টি ম্যাচ।
আফ্রিদির নেতৃত্ব আসলেই থাকবে কি না, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা শুরু হয় গত ২৫ মার্চ। সেদিন নতুন নির্বাচক কমিটি ঘোষণার সময় আফ্রিদির ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে পিসিবির প্রধান মহসিন নাকভি বলেছিলেন, ‘এমনকি আমিও জানি না, কে অধিনায়ক হবে। শাহিন চালিয়ে যাবে, নাকি নতুন একজন আসবে, সেটি ফিটনেস ক্যাম্পের পর ঠিক করা হবে।’ যদিও ফিটনেস ক্যাম্প চলাকালীনই বাবরের অধিনায়ক হিসেবে ফেরার ঘোষণা এল। ফিটনেস ক্যাম্প চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
সর্বশেষ দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের নেতৃত্ব দিয়েছেন বাবর। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবরের দল খেলেছে সেমিফাইনাল। ২০২২ সালে পরের বিশ্বকাপে ফাইনালে।
বাবর অধিনায়ক হিসেবে ফেরায় পাকিস্তান দলে গ্রুপিংয়ের শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কয়েক দিন আগে অবসর থেকে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম, দুজনই বাবরের অন্যতম বড় সমালোচক। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে এ দুজন একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বাবরকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে বাবরের জায়গা নেই বলেও মন্তব্য করেছিলেন। তাই বাবর অধিনায়ক হিসেবে ফেরার পর তাঁদের সম্পর্ক কী হবে, এ নিয়ে কৌতূহল তো থাকছেই।