ভারতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আদার উৎপাদন কমেছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সরবরাহের অভাবে আদার আমদানি কমে যাওয়ায় মসলাপণ্যটির দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। দিনাজপুরের হিলিতে সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানীকৃত আদার দাম কেজিতে ৮০ টাকা বেড়েছে। হিলির কাঁচাবাজার থেকে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগেও আমদানীকৃত প্রতি কেজি আদার দাম ছিল ২০০ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে আদা বিক্রেতা বলেন, বাজারে দেশী আদার সরবরাহ না থাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই আমদানীকৃত ভারতীয় আদা দিয়েই ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। কিন্তু স্থলবন্দরেই আমদানীকৃত ভারতীয় আদার দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। কারণ ডলারের বিনিময় হার বাড়ার কারণে স্থলবন্দরে আদার দাম ঊর্ধ্বমুখী। এছাড়া ভারতের বাজারে আদার দাম সম্প্রতি কিছুটা বেড়েছে। তাই পণ্যটির আমদানি কমেছে।
তিনি আরো জানান, বন্দর থেকেই বিক্রেতাদের ২০০ টাকা কেজি দরে আদা কিনতে হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে পরিবহন খরচ। এছাড়া বস্তাপ্রতি চার-পাঁচ কেজি করে মাটি বের হয়। সেসব খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরে আমদানীকৃত আদা খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বলেন, প্রতি টন আদা ভারত থেকে প্রকারভেদে ৬০০ থেকে ৯০০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি আদা আমদানিতে শুল্ক বাবদ দিতে হচ্ছে ১১ টাকা, যা আগে ছিল ১০ টাকা। ডলারের বিনিময় হার বাড়ার কারণে কেজিপ্রতি ১ টাকা করে শুল্ক বেড়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আদা আমদানি অব্যাহত থাকলেও আমদানির পরিমাণটা কিছুটা কমেছে।
বন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন এক-দুই ট্রাক করে আদা আমদানি হচ্ছে বলে জানান তিনি।