গণতান্ত্রিক ধারা ও স্থিতিশীলতা আছে বলেই দেশ আজ উন্নয়নশীল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়নের যে ধারা সূচিত হয়েছে সেটি সম্পন্ন করতে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও সরকারের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে সরকারি বাসভবন গণভবনে আসা অতিথি ও সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন ভালো আছে। এ অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায়। স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস করে দেবে।
তিনি বলেন, আমার প্রেরণা আমার বাবা। বাংলার মানুষের জন্য বাবা যেভাবে কষ্ট করেছেন, সেভাবে ত্যাগ স্বীকার করতে আমিও প্রস্তুত আছি। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, প্রধানমন্ত্রীত্ব আমার কাছে কিছু না।
প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমার তো কেউ নেই। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই কাজ করে যাচ্ছি। সব হারিয়ে বাংলার মানুষের মাঝে খুঁজে পাই বাবা-মার স্নেহ। মা যেমন সন্তানকে আগলে রাখেন, একইভাবে দেশের সেবা করে যাচ্ছি। ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, দেশের মানুষ ভালো থাকলে আমি ভালো থাকি।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে বিশ্বজুড়ে যখন মুদ্রাস্ফীতি তখন দারিদ্র্যের হার কমিয়েছি। মানুষের জীবনে যেন স্থিতিশীলতা আসে সেজন্য গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার মত কাজ করে যাচ্ছে সরকার। পদ্মা সেতুর কারণে ঈদযাত্রা সহজ হয়েছে। এটা খুব ভালো ব্যাপার। গ্রামে ফিরে গিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করা যাচ্ছে। উৎপাদন কাজে লাগানো যাচ্ছে৷ সহজে পরিবহন করা যাচ্ছে।
রাজধানীতে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ডে তাদেরও চক্রান্ত আছে কি না সন্দেহ। তা না হলে আগুন নেভাতে দেবে না কেন? প্রত্যেকটা মানুষ, ব্যবসায়ী যেন সুরক্ষিত থাকে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, তারা সব করতে পারে।