আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় কেবল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে। কারণ, আমরা মানুষের জন্য কাজ করি।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো গণমানুষের দল না। এজন্য মানুষকে পরোয়া করে না। ক্ষমতা তাদের কাছে লুটের আর ভোগের বস্তু। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন হয়। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে নেমে আসে কালো মেঘ।
শেখ হাসিনা বলেন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে গেল। তখন বাংলাদেশের মানুষ সেই ভোট মানেনি। বিএনপির শাসনামলের মহিলাদের ওপর যে অত্যাচার, দুঃশাসন একাত্তরের নির্যাতনের সাথে সাথে মিলে যায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরাই এসবের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে। একদিকে পুলিশ বাহিনী অন্যদিকে বিএনপির গুন্ডাবাহিনী অকথ্য নির্যাতন করেছে। এই মেয়েদের ওপর যেভাবে নির্যাতন করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমরা ক্ষমতায় এসে আমরা প্রতিশোধ নিতে যাইনি। দেশের উন্নয়নের মনোযোগ দিয়েছি।
২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ নির্বাচনে নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। জাতীয় আন্তর্জাতিক কোনো ভাবে কি, ওই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওঠেনি। সেই নির্বাচনের ফলাফল অনেকেই ভুলে গেছেন। ৩০০ সিটের নির্বাচনে বিএনপি তখন কয়টা সিট পেয়েছিল? বিএনপি নেতারাই হয়তো ভুলে গেছে। মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছিল বিএনপি। জাতীয় পার্টি পায় ২৭টি সিট। ৩টা সিট বেশি ছিল বলে খালেদা লিডার অব দ্যা অপজিশন হয়েছিল। জাতীয় পাটি যদি আর ৩-৪টা সিট পেত তাহলে খালেদা জিয়া লিডার অব অপজিশন হতে পারত না। এটা হলো বাস্তবতা। বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞেস করুন, এতো যে লাফালাফি কিসের জন্য? ২০০৮ নির্বাচনে তো এই রেজাল্ট।
তিনি বলেন, নারীর অধিকার কেড়ে নিয়েছে বিএনপি। শামসুন্নাহার হলেও মেয়েদের ওপর নির্যাতন করেছে। তাদের গোলাগুলিতে বুয়েটে মেধাবী ছাত্রী সনি মারা গেলো।