কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া এ রিট করেন।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর , বিএফআইইউ প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের বিবাদী করা হয়েছে।
আরিফুর রহমান জানান, আবেদনে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর করতে, ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল, বিদেশে পাচারকৃত ১১ লক্ষ কোটি টাকা ফেরত আনা, যে সব প্রতিষ্ঠানে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সেগুলোর পরিবর্তন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সকল ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সকল কর্মকর্তা, চলমান প্রশাসনের সকল বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনও-সহ বাংলাদেশ পুলিশের সকল বিভাগীয় কমিশনার, এসপি ও ওসি সাহেবকে বদলি করে বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আবেদনে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে।