রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অসাধারণ বোলিংয়ে ডমিনিকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস এবং ১৪১ রানে হারিয়েছে ভারত। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। ঘরের মাঠে ভারতের কাছে এটিই সবচেয়ে বড় হার ক্যারিবিয়ানদের। অশ্বিনের রেকর্ড গড়া বোলিংয়ের ম্যাচটিতে খেলা হয়েছে মাত্র তিন দিন।
প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া এই অফ স্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন সাতটি উইকেট। পুরো ম্যাচে তার প্রাপ্তি ১৩১ রানে ১২ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রায় শত বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে এবারই প্রথম সেখানে কোনো স্পিনার ম্যাচে ১২টি উইকেট নিতে পেরেছেন!
২০১১ সালে গায়ানাতে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাঈদ আজমল। সেটাই ছিল এতদিনের সেরা বোলিং ফিগার। ম্যাচের তৃতীয় দিন শুরু করেন ইয়াশভি জায়সাওয়াল ও বিরাট কোহলি। ৩৬০ বলেই দেড়শ রান স্পর্শ করেন জায়সাওয়াল।
দুইশ করার সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেননি তরুণ এই ওপেনার। ৩৮৭ বলে ১৭১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে আলগা শট খেলে আউট হয়ে যান তিনি। তারপর আজিঙ্কা রাহানের (৩) উইকেটও দ্রুত হারিয়ে ফেলে ভারত। যদিও মন্থর উইকেটে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন কোহলি। এ দিন অবশ্য দুই দফায় জীবন পান কোহলি। মন্থর গতিতে ব্যাট চালাতে থাকেন তবুও। ১৪৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পান তিনি। রাহকিম কর্নওয়ালের অফ স্পিনে স্লিপে ধরা পড়ার আগে ৭৬ রান করেন তিনি।
রোহিত শর্মা ইনিংস ঘোষণার আগপর্যন্ত ৮২ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন রবীন্দ্র জাদেজা। অভিষিক্ত ইশান কিশানের ব্যাটে আসে ২০ বলে ১ রান। ২৭১ রানের লিডে ছিল ভারত। আরেকটু এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও স্পিন উইকেটে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় তারা। এবার অশ্বিন-জাদেজার স্পিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয় মাত্র ১৩০ রানে। প্রথম ইনিংসে দলের সর্বাচ্চ ৪৭ রান করা অভিষিক্ত আলিক আথানেজ দ্বিতীয় ইনিংসেও করেন দলের সর্বোচ্চ ২৮ রান। এ ছাড়া জেসন হোল্ডার অপরাজিত ২০ এবং জোমেল ওয়ারিক্যান ১৮ রান করেন।