‘সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও শৈথিল্যতা প্রদর্শন করা যাবে না। দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। যদি কারো পক্ষপাতমূলক আচরণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে তিনিই দায়ী থাকবেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে চট্রগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা-না করার এখতিয়ার সবার আছে। কিন্তু নির্বাচন বানচাল করা বা অন্যকে নির্বাচন করতে না দেওয়ার অধিকার আইন কাউকে দেয়নি। এরকম কেউ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ নির্বাচন না করার অধিকার তাদের একক কিংবা দলীয় সিদ্ধান্ত। তাই বলে কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না। ভোটের পরিবেশ সৃষ্টিতে যা যা দরকার সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি।’
ইসি আরও বলেন, ‘কমিশন বরাবরই বলে আসছে, আমরা সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই এবং এর জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে যা যা দরকার সবই করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ এখনও শঙ্কা প্রকাশ করেনি। এরই মধ্যে ছোট-বড় বিভিন্ন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এতে মনে হচ্ছে, এবারের নির্বাচনে অনেকেই মাঠে থাকবেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বীতাও হবে। এই নির্বাচন আমরা আমাদের চোখ দিয়ে দেখছি না। বিশ্ববাসীও দেখছে। কাজেই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার কোনো বিকল্প নাই। যে কোনো মূল্যে গ্রহণযোগ্য করতে হবে।’
বিএনপি নির্বাচনে এলে তফসিল পুনর্বিবেচনা করা হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও কারো কাছ থেকে কোনো আবেদন পাইনি। যদি কেউ নির্বাচনে আসে বা নির্বাচনের সময় নিয়ে যদি কারো কথা থাকে তবে সেক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করবো। সেই বিবেচনা করার মত যথেষ্ট সময় আমাদের আছে।’
এর আগে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরেআলম মিনা, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজিদুর রহমান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুছ আলী, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক।