প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে অবসর প্রত্যাহার করলেন তামিম ইকবাল। তবে ছুটি নিয়েছেন দেড় মাসের। ছুটি শেষে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে খেলবেন তিনি। তবে এশিয়া কাপে তিনি অধিনায়ক হিসেবে ফিরবেন নাকি খেলোয়াড় হিসেবে সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নিবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তামিম অতর্কিত অবসর ঘোষণা করেন। এরপর আজ শুক্রবার (০৭ জুলাই, ২০২৩) তাকে গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি স্ত্রীসহ যান বিকেলে। এ সময় সঙ্গে ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর যুক্ত হন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
গণভবনে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন তারা। এরপর সেখান থেকে বের হয়ে পৌনে ছয়টার দিকে তামিম জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘আজ দুপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে তার বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ওনার সঙ্গে আমি অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি। উনি আমাকে খেলায় ফিরে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি আমার অবসর এই মুহূর্তেই উঠিয়ে নিচ্ছি। কারণ, আমি সবাইকে না বলতে পারি, কিন্তু দেশের যিনি সবচেয়ে বড় নেত্রী, তাঁকে না বলা অসম্ভব।’
‘এখানে মাশরাফি ভাই ও পাপন ভাইও বিগ বিগ ফ্যাক্টর। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে নিয়েছেন। পাপন ভাইও সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড় মাসের একটি ছুটিও দিয়েছেন। আমার যা চিকিৎসা আছে বা আমি যদি মানসিকভাবে আরও ফ্রি হতে পারি, দেড় মাস পর যা খেলাধুলা আছে (এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ), আমি ইনশাল্লাহ খেলবো।’ —যোগ করেন তামিম।
এ সময় তার পাশে ছিলেন পাপন। তিনি জানান, শারীরিক ও মানসিকভাবে চাঙ্গা ও ফিট হতে দেড় মাস ক্রিকেটের বাইরে থাকবেন তামিম, ‘যেহেতু সে শারীরিক ও মানসিকভাবে এখনো ফিট না, সেজন্য সে দেড় মাস সময় নিয়েছে। এই দেড় মাসে সে রিহ্যাব করে আশা করছি শিগগিরই আবার ক্রিকেটে ফিরে আসবে।’
তামিমের অবসর প্রত্যাহার করে ফেরাটাকে দারুণ স্বস্তির বলেছেন তিনি, ‘এটি সবার জন্যই স্বস্তির। আরে, আমাদের অধিনায়ক যদি না থাকে তাহলে খেলবো কী করে?’
তিনি আরও বলেন, ‘তামিমের সংবাদ সম্মেলনটি দেখে আমার একটি ধারণা হয়েছিল যে সে হয়তো আবেগী একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার বিশ্বাস ছিল যে ওর সঙ্গে যদি সামনাসামনি একবার বসতে পারি, তাহলে হয়তোবা এটির একটি সমাধান পাবো। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আমরা সবাই ওর সঙ্গে বসেছিলাম। এবং ও আপনাদের সামনেই বলে গেল, সে অবসরের চিঠিটা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।’