ইসরাইলি আক্রমনে একের পর এক তাণ্ডব দেখছে গাজাবাসী। কড়াকড়ি নিরাপত্তায় ঘেরা এলাকাটি পুরোটাই অবরুদ্ধ। চাইলেও পালানোর কোনো উপায় নেই। অসহায় গাজাবাসীকে চারদিক থেকে ঘেরাও করেছে ইসরাইল বাহিনী।
অবরুদ্ধ গাজা থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথ মিসর সঙ্গে সংযুক্ত রাফাহ ক্রসিং। গাজায় ইসরাইলের আক্রমনের পর থেকেই সীমান্তটি বন্ধ করেছিলো মিসর। অবশেষে বুধবার যুদ্ধের ২৬ দিন পর অবশেষে উন্মুক্ত করা হলো গাজার ‘লাইফলাইন’ রাফাহ ক্রসিং।
তবে বিশেষকিছু বাসিন্দারাই রাফাহ সীমান্ত পাড় হয়ে বাইরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। আহত এবং বিদেশি পাসপোর্টধারীদের বিশেষ তালিকা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। খবর আলজাজিরার।
রাফাহ ক্রসিং কাদের জন্য উন্মুক্ত তাদের নিয়ে একটি বিশেষ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিলো। ঘোষনার পর থেকেই সীমান্তে অসংখ্য মানুষের ভীড় বাড়তে থাকে। এদের মধ্যে অনেকে প্রবাসী, অনেকে আহত। গুরতর আহত ব্যক্তিদের বহন করেছিলো সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স।
নৃশংস হামলায় গাজায় আহত রোগীরা হাসপাতালে ছটফট করছিলো। তাদের অনেকেরই গাজার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই। এমন তালিকাভুক্ত ৮১ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিসরে নিয়ে যাওয়া হবে।
পাশপাশি ৪০০ জনেরও বেশী বিদেশি, দ্বৈত নাগরিককে যুদ্ধবিদ্ধস্ত গাজাকে ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৭ টায় তালিকাভুক্তদের ক্রসিংয়ের সামনে থাকার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। বৈদেশিক পাসপোর্টধারী মধ্যে রয়েছেন জাপানি, অস্ট্রিয়ান, বুলগেরিয়ান, ইন্দোনেশিয়ান, জর্ডানিয়ান, ইতালীয়, গ্রীক, অস্ট্রেলিয়ান এবং চেক প্রজাতন্ত্রের ফিলিস্তিনিরা।
পাশাপাশি স্পেন, ইতালি, ফিলিপাইন, হাইতি, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, জাপান, অস্ট্রিয়া, মেক্সিকো, ফ্রান্স, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জর্ডান, সিয়েরা লিওন, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া আর্মেনিয়া, উগান্ডা, ঘানার পাসপোর্টধারী বিভিন্ন এনজিওতে কাজ করা অনেকে এ তালিকার অন্তর্ভুক্ত।