টি-টোয়েন্টি সিরিজ হাতছাড়া হলেও শেষ ম্যাচে কাঙ্ক্ষিত জয়ের মুখ দেখেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। গেল ম্যাচে জয়ের খুব কাছে গিয়ে ফিরে আসা দলটি বৃহস্পতিবার জয় পেয়েছে ৪ উইকেটে। ১০৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ১০ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেন স্বাগতিক দলের ব্যাটাররা।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খুব কাছে গিয়ে হারের পর প্রেজেন্টেশনে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেছিলেন, দল দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। অধিনায়ক যা বলেছিলেন, তাই করে দেখাল তার দল। অবশ্য এই জয়ের অন্যতম নায়ক ৪২ রানের ইনিংস খেলা শামিমা সুলতানা।
১০৩ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। স্কোরবোর্ডে ১২ রান তুলতেই সাথি রানির উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। এরপর দলীয় ১৬ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনে নামা দিলারা আক্তার। দ্রুত দুই ব্যাটার ফিরলেও শামিমাকে নিয়ে জুটি গড়েন নিগার। তাদের ব্যাটে দলীয় রান ৫০ পার হয় দ্রুতই। তবে দলীয় ৬২ রানে জ্যাতি ফেরেন দেভিকা বিদ্যাকে উইকেট দিয়ে। সঙ্গী হারিয়ে দলকে টেনে নেয়ার চেষ্টায় থাকা শামিমার সাথে জুটি গড়তে ব্যর্থ হন স্বর্ণা আক্তার। হাফ সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকা শামিমা ফেরেন দলীয় রান ৯০ হওয়ার আগে।
৪৬ বলে ৪২ রান করে আউট হন শামিমা। সে সময় ফিরে যান সুলতানা খাতুনও। তবে রিতু মনি ও নাহিদা আক্তারের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ১০ বল হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের তৃতীয় জয় এটি।
মিরপুরে এ দিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের দারুণ বোলিংয়ে শুরুতেই অস্বস্তি ফুটে উঠে ভারতীয়দের। অধিনায়ক হারমানপ্রীত ও জেমিমাহ রদ্রিগেজ ছাড়া দলের কেউ প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। ফাহিমার বলে স্টাম্পড হওয়ার আগে হারমানপ্রীত ৪১ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া জেমিমাহর ব্যাট থেকে আসে ২৮ রানের ইনিংস। ১৭তম ওভারে অধিনায়ক আউট হওয়ার পরই মূলত খেই হারায় ভারতীয় দল। নীচের দিকের ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০২ রানে থামে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা দলটি।
রাবেয়া খান ১৬ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেছেন। সুলতানা খাতুন নেন ১৭ রানে দুই উইকেট। এ ছাড়া নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন ও স্বর্না আক্তার নেন একটি করে উইকেট।