একদিনে এক হাজার ৮৭৬ জন জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব পদে প্রশাসক হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ ছাড়া সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করেছে সরকার।
৬০ জন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ৪৯৩ জন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকেও অপসারণ করা হয়েছে। তাছাড়া সারা দেশের উপজেলা পরিষদের ৯৮৮ জন ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর মধ্যে ৪৯৪ জন পুরুষ ও ৪৯৪ জন নারী। রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
একইসঙ্গে জানানো হয়, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের স্থলে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ প্রয়োগ করে পৌরসভার মেয়র, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণ করা হলো।
এর মধ্যে মৃত্যুজনিত কারণে নাটোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬১টি জেলা পরিষদের শূন্য পদে প্রশাসকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে সাতটি পৌরসভার প্রশাসককে।
এর আগে গত শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এবং ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করে। পরে এগুলো অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
ওই সংশোধনী অনুযায়ী বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার যদি জনস্বার্থে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করে, তাহলে কোনো সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে।
একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদেরও অপসারণের ক্ষমতা থাকবে সরকারের। একইসঙ্গে সরকার এসব পদে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে।