এপ্রিল ২৫, ২০২৪

‘এনার্জি সেক্টর স্মার্ট মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, জ্বালানি খাতে এটিই হবে প্রথম পরিকল্পনা, যাতে আধুনিকতার ছোঁয়া থাকবে। ইতোমধ্যে হাইড্রোকার্বন ইউনিট থেকে ‘এনার্জি সেক্টর স্মার্ট মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি বিভাগ থেকে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছে।

দেশে এখন প্রধান জ্বালানি গ্যাস। এর পাশাপাশি চাহিদা থাকলেও সামান্য পরিমাণ কয়লা তোলা হচ্ছে। তবে দেশে যে কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হচ্ছে তার সিংহভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করা। দৈনিক ব্যবহৃত গ্যাসের এক-তৃতীয়াংশও আমদানি করা হয়। দেশীয় জ্বালানি উৎসের সংকটের কারণে ক্রমান্বয়ে আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে জ্বালানি আমদানির অতিরিক্ত ব্যয় দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। কীভাবে দেশীয় জ্বালানি উৎপাদন বাড়িয়ে দেশকে রক্ষা করা যায় সে পথ খোঁজা হবে এই পরিকল্পনায়।

এর বাইরেও সরকার বিদ্যুৎ জ্বালানির একটি সমন্বিত পরিকল্পনা করছে। জাইকা এই পরিকল্পনা করছে। এবারই প্রথম বিদ্যুৎ-জ্বালানির সমন্বিত পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যানগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা থাকলেও জ্বালানি সংস্থান কীভাবে হবে তা সুনির্দিষ্ট করা থাকতো না। এ জন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাঝপথে এসে তা সংশোধন করতে হতো। জ্বালানি সংস্থান নিশ্চিত না থাকায় সরকার অনেক ক্ষেত্রে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যানের বাইরে গিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতো।সরকারি সূত্রগুলো বলছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এখন আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এ জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ নিজেদের মতো করে কাজ করছে। স্মার্ট জ্বালানি পরিকল্পনা তারই অংশ বলে জানা গেছে।

হাইড্রোকার্বন ইউনিটের একজন কর্মকর্তা জানান, কীভাবে জ্বালানি অনুসন্ধান, উত্তোলন এবং ব্যবহারকে আরও স্মার্ট করা যায় সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করবো। ইতোমধ্যে আমাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। আমরা নানা দিক পর্যালোচনা করছি। আশা করছি খুব শিগগির এটি করার জন্য একটি পরিকল্পনা জ্বালানি বিভাগে জমা দিতে পারবো। জ্বালানি বিভাগের সাম্প্রতিক বৈঠকে আমরা ‘এনার্জি সেক্টর স্মার্ট মাস্টার প্ল্যান‘ করার পরিকল্পনার কথা বলেছি। জ্বালানি বিভাগ আমাদের প্রস্তাব জমা দিতে বলেছে। আমরা এখন সেটি নিয়ে কাজ করছি।

হাইড্রোকার্বন ইউনিট হচ্ছে জ্বালানি বিভাগের নীতি এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তবে ইতোপূর্বে তাদের এ ধরনের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে দেখা যায়নি। এই প্রথম প্রতিষ্ঠানটি বড় পরিকল্পনা প্রণয়নে হাত দিলো। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার জন্য একটি সমঝোতা সই করেছে। সরকার বিদেশি পরিকল্পনার বাইরে এসে নিজস্ব পরিকল্পনা প্রণয়নে জোর দেওয়াতে এখন কাজের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *